ওয়ালিউল্লাহ, শৈলকুপা ( ঝিনাইদহ)
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় রাতের আঁধারে হরিণাকুন্ডু উপজেলায় ৭০ বস্তা সার পাচারকালে সারবাহী গাড়ির গতিরোধ করেন স্থানীয়রা। পরবর্তীতে ফাঁড়ির পুলিশকে খবর দিলে সারসহ গাড়ি জব্দ করে নিয়ে যায়। পুলিশের জব্দকরা সার কৃষি অফিসার সারের বস্তাগুলি বেওয়ারিস হিসেবে কৃষকের কাছে বিক্রি করে ৭৩,৫০০টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগরে জমা দিয়েছে বলে জানায় স্থানীয় প্রশাসন।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!গতরাতে (১৮ ডিসেম্বর) শৈলকুপা উপজেলার ফুলহরি ইউনিয়নের কাজীপাড়া বাজারের রওশনের দোকান থেকে ৭০ বস্তা সার নিয়ে হরিনাকুন্ডু উপজেলায় যাচ্ছিলেন থ্রিহুইলার চালক (তিন চাকার গাড়ি)। এসময় ইউনিয়ন বিএনপি’র সেক্রেটারি হামিদুল লস্কর বাধা দিলে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে ইউনিয়ন বিএনপির সেক্রেটারি হামিদুল লস্কর বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমি জানতে পারি রাতে সার পাচার হচ্ছে, আমি অনুসন্ধান করলে পথের মধ্যে গাড়ি ভর্তি সার পায়। আমি বাধা দিলে সাব ডিলার রওশন এসে আমার সাথে ধস্তাধস্তি করে চলে যায়। পরবর্তীতে আমি লোকজন একত্রিত করে গাড়িটির পথ অবোরোধ করি পরবর্তীতে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ ক্যাম্পে নিয়ে যাই।
সার আটকের বিষয়ে শৈলকুপা থানার ওসি মাসুম খানের নিকট জানতে চায়লে তিনি বলেন, স্থানীয়রা সার আটক করে আমাদের খবর দিলে সার উদ্ধার করে ফাঁড়িতে নেওয়া হয়।
থ্রিহুইলার স্থানীয় ভাষায় করিমন চালক উজ্জ্বল জানান, সন্ধ্যায় রওশন আমার গাড়ি ভাড়া করে বলেছিলেন সার বিক্রি করেছি নিয়ে যেতে হবে, পরে পথের মধ্যে এই ঘটনা ঘটে।
ইউনিয়ন জামাতের আমির মাওলানা আশরাফ আলী বলেন, অবৈধভাবে বাইরে সার বিক্রি করেছিলেন তিনি আমরা শুনেছি, জনসাধারণ তার শাস্তি চাই আমরাও এই সার ডিলারের শাস্তি চাই ।
অভিযোগ রয়েছে কৃষকরা সার কেনার জন্য তার নিকটে গেলে সার না থাকার কথা বলেন, বিক্রিকরলেও উচ্চ মূল্য নিয়ে থাকেন।
অভিযুক্ত সার ডিলার রওশন বলেন, সার আমার নয়।
শৈলকুপা কৃষি কর্মকর্তা আরিফুজ্জামান বলেন, অভিযুক্ত সার ডিলার রওশন সার তার বলে স্বীকার করেনি, বেওয়ারিশ ভাবে কৃষকের মাঝে সার বিক্রি করে ৭৩,৫০০ টাকা হয়েছে যা সরকারি কোষাগরে জমা দেয়া হবে এবং এই রওশনের দোকানে, অনুমদোনের চেয়ে অধিক সার মজুদ থাকায়, ২০০০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এ ছাড়া কৃত্রিম সংকটের ব্যাপারে আমরা অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নিচ্ছি।