ডেস্ক রিপোর্ট
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!ডিএমপির আদাবর থানায় ক্রিকেটার ও সাবেক এমপি সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলায় দায়ের হয়েছে। সরকারবিরোধী আন্দোলনে অংশ নিয়ে গার্মেন্টসকর্মী রুবেল নামে এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যাওয়ার ঘটনায়। হত্যার নির্দেশদাতা হিসেবে সাকিবকে মামলার ২৮ নম্বর এজাহার নামীয় আসামি করা হয়েছে।
পাকিস্তানের বিপক্ষে এখন টেস্ট খেলছেন সাকিব। রাওয়ালপিণ্ডি টেস্টের দ্বিতীয় দিন তথা গতকাল (বৃহস্পতিবার) টাইগার এই অলরাউন্ডারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। তবে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে পর্যন্ত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির খবর পাওয়া যায়নি।
পরোয়ানা জারি হলে সে ক্ষেত্রে তাকে বাংলাদেশে ফিরলে গ্রেপ্তার করতে পারে পুলিশ। যদিও তার এই মুহূর্তে দেশে ফেরার সম্ভাবনাই নেই বললেই চলে। স্ত্রী পরিবার যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করায় পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ শেষে সেখানেই ফিরে যেতে পারেন তিনি।
এর আগেও চিত্রনায়িকা নাজনীন আক্তার হ্যাপির করা এক ধর্ষণ মামলায় জাতীয় দলের পেসার রুবেল হোসেন গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। জেল থেকে জামিনে মুক্ত হয়ে ২০১৫ বিশ্বকাপে খেলেছিলেন তিনি। সাকিব আগাম জামিন নিয়ে খেলা চালিয়ে যাবেন কি না নিশ্চিত করা যাচ্ছে না।
অবশ্য ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় দেশের বাইরে ক্রিকেটে ব্যস্ত ছিলেন আওয়ামী লীগের টিকিটে সংসদ সদস্য হওয়া সাকিব। সেক্ষেত্রে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হলেও ঘটনাস্থলে উপস্থিত না থাকার প্রমাণ দিয়ে জামিন পেতেও পারেন। তখন আর খেলায় বাধা থাকবে না। এর আগেই তার বিরুদ্ধে অভিযোগ খারিজ হলে ব্যাপারটি এমনিতেই নিষ্পপ্তি হওয়ার সুযোগ থাকছে।
এদিকে, সাকিবের বিরুদ্ধে মামলা ও তার ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নিয়ে জানতে বিসিবিতে যোগাযোগ করা হলেও এ প্রতিবেদন লেখার সময় কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
আদাবর থানার এই মামলায় অন্য আসামিরা হলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ আরো ১৫৬ জন। মামলায় অজ্ঞাত আরও ৪০০-৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার ২৮ নম্বর আসামির ঠিকানা লেখা রয়েছে মো.সাকিব আল হাসান, সাবেক সংসদ সদস্য, পিতা: মাশরুর রেজা, সাং-সাহাপাড়া, নতুন বাজার, ডাকঘর: মাগুরা।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) গার্মেন্টসকর্মী রুবেলের বাবা রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছন। ডিএমপির আদাবর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. নজরুল ইসলাম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহারে বাদী অভিযোগ করে বলেন, গত ৫ আগস্ট রুবেল আদাবরের রিংরোডে প্রতিবাদী মিছিলে অংশ নেয়। এ সময় আসামিদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ নির্দেশ, প্ররোচনা, সাহয্য, সহযোগিতা ও প্রত্যক্ষ মদদে কেউ মিছিলে গুলি ছুড়ে। বুকে ও পেটে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় রুবেলকে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসারত অবস্থায় ৭ আগস্ট মারা যান।