ঝিনেদার কাগজ || Jhenedar kagoj || সত্যের আলোয় সুন্দর

২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ভিনগ্রহে পচা ডিমের গন্ধযুক্ত রাসায়নিকের সন্ধান

ভিনগ্রহে পচা ডিমের গন্ধযুক্ত রাসায়নিকের সন্ধান

ডেস্ক অনুবাদ

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

২০০৫ সালে আবিষ্কৃত হয়েছে ‘এইচডি ১৮৯৭৩৩ব’ নামের ভিনগ্রহ। আগে থেকে এই গ্রহের বিশেষ অবস্থার জন্য পরিচিতি রয়েছে। জুপিটার বা বৃহস্পতি গ্রহের চেয়ে আকারে কিছুটা বড় এই গ্যাসীয় গ্রহের তাপমাত্রা অত্যন্ত বেশি। এর রং কোবাল্ট নীল। এখানে নিরবচ্ছিন্ন ঝড়ের কারণে গলিত কাচের বৃষ্টি হয়।

তবে এই কাচের বৃষ্টি প্রচণ্ড ঝোড়ো হাওয়ায় অনুভূমিকভাবে বয়ে চলে, যার গতি প্রতি ঘণ্টায় ৮ হাজার ৪৮ কিলোমিটার। এখন এর সঙ্গে যোগ হলো আরও একটি বিশেষত্ব, যা হচ্ছে পচা ডিমের গন্ধযুক্ত রাসায়নিকের সন্ধান। বিশ্বজগতের এ রহস্যময় গ্রহ সম্পর্কে জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের মাধ্যমে এই নতুন তথ্য জানা গেছে।

সম্প্রতি গবেষকরা জানিয়েছেন, প্রথমবারের মতো পচা ডিমের গন্ধের জন্য দায়ী হাইড্রোজেন সালফাইড গ্যাস গ্রহটির বায়ুমণ্ডলে পাওয়া গেছে। জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের নতুন তথ্যে এইচডি ১৮৯৭৩৩বি গ্রহ সম্পর্কে আরও বিস্তারিত ধারণা পাওয়া যাচ্ছে। এই গ্রহ আমাদের সৌরজগতের বাইরে অবস্থিত, এ জাতীয় গ্রহগুলোকে এক্সোপ্ল্যানেট (exoplanet) বলা হয়।

এই গবেষণার প্রধান লেখক জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতিপদার্থবিজ্ঞানী গুয়াংওয়ে ফু বলেন, ‘হ্যাঁ, এই দুর্গন্ধ নিঃসন্দেহে গ্রহটির কুখ্যাতি আরও বাড়িয়ে দেবে। এটি এমন একটি গ্রহ যেখানে মানুষ যেতে চাইবে না, তবে গ্রহবিজ্ঞান সম্পর্কে আমাদের জ্ঞান সমৃদ্ধ করতে এটি গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’

এইচডি ১৮৯৭৩৩বি গ্রহ ‘হট জুপিটার’ নামে পরিচিত। এটি সৌরজগতের বৃহস্পতির মতো গ্যাসীয় জায়ান্ট গ্রহ। তবে এটি তার নক্ষত্রের অনেক কাছে থাকায় বৃহস্পতির চেয়ে অনেক বেশি গরম। গ্রহটি সূর্যের চেয়ে তার নক্ষত্রের চারদিকে ১৭০ গুণ কাছে ঘুরে। এটি তার নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করতে মাত্র দুদিন সময় নেয়। যেখানে বৃহস্পতির সূর্যের চারদিকে একবার প্রদক্ষিণ সম্পূর্ণ করতে ১২ বছর লাগে।

গ্রহটির নক্ষত্রমুখী অংশের তাপমাত্রা প্রায় ৯৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১৭০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট), যা আমাদের সৌরজগতের সবচেয়ে নিকটতম গ্রহ বুধের চেয়েও ১৩ গুণ বেশি। এমন ঘটনা খুবই বিরল বলে জানান গুয়াংওয়ে ফু। এই গ্রহটি পৃথিবী থেকে ৬৪ আলোকবর্ষ দূরে ‘ভল্পেকুলা’ নক্ষত্রপুঞ্জে অবস্থিত। এক আলোকবর্ষ হলো আলো এক বছরে যে দূরত্ব অতিক্রম করে।

গুয়াংওয়ে ফু আরও বলেন,‘ এত কাছে অবস্থানের কারণে গ্রহটি উজ্জ্বল এবং এর বায়ুমণ্ডলের বিস্তারিত পর্যবেক্ষণ সহজ। এই গবেষণায় পাওয়া হাইড্রোজেন সালফাইডের মতো উপাদান অন্য অনেক দূরবর্তী গ্রহে শনাক্ত করা অনেক কঠিন হয়ে উঠত।

আমাদের অনুমান ছিল, এটা শুধু বৃহস্পতি গ্রহে থাকতে পারে। তবে প্রথমবারের মতো সৌরজগতের বাইরে এটি শনাক্ত করা গেছে। আমরা এই গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব খুঁজছি না। কারণ এই গ্রহ অনেক গরম। তবে এতে হাইড্রোজেন সালফাইড পাওয়ার বিষয়টি অন্যান্য গ্রহে এই অণু খুঁজে পাওয়া ও বিভিন্ন ধরনের গ্রহ কীভাবে গঠিত হয়, সে সম্পর্কে আরও তথ্য পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেবে।’

বিজ্ঞানভিত্তিক জার্নাল ‘ন্যাচার (Nature)’-এ নতুন গবেষণাটি প্রকাশ পেয়েছে। যেখানে নাসার জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের তথ্য ব্যবহার করেছেন গবেষকরা। সূত্র: রয়টার্স

আরও পড়ুন

মিয়ানমারে লড়াইয়ের জন্য জড়ো হচ্ছে রোহিঙ্গারা

মিয়ানমারে লড়াইয়ের জন্য জড়ো হচ্ছে রোহিঙ্গারা

অনুবাদ রয়টার্স থেকে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে বিশ্বের সবচেয়ে বড় শরণার্থী বসতিতে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বসবাস। ২০১৭ সালে বৌদ্ধ অধ্যুষিত মায়ানমার সরকার দেশটির

যবিপ্রবির ভিসি অধ্যাপক ড. এম মজিদের সংবর্ধণা কমিটির প্রস্তুতি সভা

হরিণাকুণ্ডুতে যবিপ্রবির ভিসি অধ্যাপক ড. এম মজিদের সংবর্ধণা কমিটির প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত

হরিনাকুণ্ড প্রতিনিধি ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুর বরেণ্য শিক্ষাবীদ যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাইস চ্যান্সলর অধ্যাপক ড. এমএ মজিদের সংবর্ধনা প্রদান কমিটির

মানুষের ভোটার অধিকার হরণ

‘মানুষের ভোটাধিকার হরণ করে এমন স্বাধীনতা আমরা চাইনি’

মোস্তাফিজুর রহমান, কোটচাঁদপুর মানুষের ভোটাধিকার হরণ করে এমন স্বাধীনতা আমরা চাইনি। ধর্ষণ সেঞ্চুরি করে উল্লাস করে এমন স্বাধীনতা আমরা চাইনি।

দরিদ্র মেধাবী ছাত্র নীরবের পাশে মানবতার হাত

দরিদ্র মেধাবী ছাত্র নীরবের পাশে মাও. আবু তালেব

বনি আমিন, কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) ঝিনাইদহের মঙ্গলপৈতা কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের এইচএসসি প্রথম বর্ষের ছাত্র সালমান ইসলাম নীরবের পড়াশোনার পথে দীর্ঘদিনের আর্থিক

কপ২৯: বছরে ৩০০ বিলিয়ন ডলারের প্রতিশ্রুতি পেল দরিদ্র দেশগুলো

কপ২৯: বছরে ৩০০ বিলিয়ন ডলারের প্রতিশ্রুতি পেল দরিদ্র দেশগুলো

ডেস্ক রিপোর্ট দীর্ঘ দর-কষাকষির পর সমঝোতায় পৌঁছেছে কপ২৯। বিশ্বের ধনী দেশগুলো প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, জলবায়ু সংকটের ঝুঁকিতে থাকা দরিদ্র দেশগুলোকে অভিযোজন