ডেস্ক রিপোর্ট
যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগাসে প্রযুক্তিপণ্যের মেলা কনজ্যুমার ইলেকট্রনিক্স শো (সিইএস) মানে নতুন নতুন উদ্ভাবন আর চমকের সমারোহ। তবে কিছু ঘোষণা এতটাই চমকপ্রদ যে, বাস্তবতার সঙ্গে তার দূরত্ব নিয়ে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। এমনই এক ঘোষণা দিয়েছে ই-বাইক নির্মাতা কোম্পানি রিক্টর। কোম্পানিটি চলমান কনজ্যুমার ইলেকট্রনিক্স শো ২০২৫-তে ‘স্কাইরাইডার এক্স১’ নামের একটি উড়ন্ত মোপেড উন্মোচন করেছে। এই যানটি একই সঙ্গে মোপেড ও কোয়াডকপ্টারের কাজ করবে। অর্থাৎ এটি একই সঙ্গে বাইক ও উড়ন্ত যান হিসেবে কাজ করবে, যেন স্বপ্ন আর বাস্তবতার মিশ্রণ।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!উইকিপিডিয়ার তথ্যানুসারে, ‘পোস্ট-ট্রুথ’ শব্দটি প্রথম ব্যবহৃত হয় ১৯৯২ সালে, যেখানে রাজনৈতিক কেলেঙ্কারির পরে সত্যের বিকৃতি বোঝানো হয়েছিল। তবে প্রযুক্তি মেলাগুলোয় তথ্যের যথার্থ প্রমাণের বাধ্যবাধকতা যেন কিছুটা শিথিল হয়ে যায়। উদাহরণস্বরূপ, ২০২৬ সালে এই যান বাজারে আনার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, যা বেশ উচ্চাকাঙ্ক্ষী মনে হতে পারে।
রিক্টর নামের এই কোম্পানি মূলত ‘রিক্টর কে১’ নামের ই-বাইক তৈরি ও বিক্রি করে। এখন তারা ‘স্কাইরাইডার এক্স১’ নামের এই উড়ন্ত মোপেডের বিজ্ঞাপন দিচ্ছে। রিক্টরে দাবি, এই যান এক মুহূর্তে রাস্তায় চলবে মোপেডের মতো, আর পরক্ষণে আকাশে উড়বে কোয়াডকপ্টারের মতো।
রিক্টরের দাবি করছে, স্কাইরাইডার এক্স১ একটি বৈদ্যুতিক মোপেড, যা প্রয়োজন হলে কোয়াডকপ্টারে রূপান্তরিত হতে পারে। এটির একটি কেবিন রয়েছে। যানটি শহরের যানজটের মধ্যে আটকে গেলে, এর চারটি বাহু বের করে ফ্যানব্লেড চালু করলে এটি আকাশে উড়বে। স্কাইরাইডার এক্স১ সর্বোচ্চ ২০০ মিটার উচ্চতায় উড়তে সক্ষম।
নিরাপত্তার বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে তৈরি করা হয়েছে এ যানটি। এতে রয়েছে রিডানড্যান্ট সিস্টেম ও জরুরি পরিস্থিতিতে নিরাপত্তার জন্য প্যারাশুট। স্কাইরাইডার এক্স১ স্বয়ংক্রিয়ভাবে উড্ডয়ন ও অবতরণ করতে পারে। আকাশে থাকাকালীন নিজেই সর্বোত্তম রুট পরিকল্পনা করতে সক্ষম এটি।
কোম্পানির ওয়েবসাইট অনুযায়ী, এক্স১ এর দুটি ভিন্ন মডেল থাকবে। এক্স১ এসএল মডেলে রয়েছে ১০ দশমিক ৫ কিলোওয়াট আওয়ারের ব্যাটারি, যা একটানা ২৫ মিনিট উড়তে পারবে। আর এক্স১ এসএক্স মডেলটিতে রয়েছে ২১ কিলোওয়াট আওয়ার ব্যাটারির, যা ৪০ মিনিট পর্যন্ত আকাশে উড়তে পারবে। স্কাইরাইডার এক্স১-এর সম্ভাব্য দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৬০ হাজার মার্কিন ডলার, যা এই ধরনের যানের জন্য অনুমান করা মূল্যের চেয়ে অনেক কম।
আকাশে উড়ন্ত অসংখ্য এই মোপেড-কাম-কপ্টার নিয়ন্ত্রণ কীভাবে করা হবে, সে সম্পর্কে কোনো তথ্য দেয়নি রিক্টর। স্কাইরাইডার এক্স১ এখনই পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে। এটি বাস্তবে কতটা কার্যকর হবে, তা সময়ই বলে দেবে।