ডেস্ক রিপোর্ট
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!ইসরায়েলকে ‘কঠিন শাস্তি’ দেওয়ার ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির নির্দেশ বাস্তবায়ন করবে দেশটির ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি)। শুক্রবার আইআরজিসির ডেপুটি কমান্ডার আলি ফাদাভি এ কথা জানান।
ফাদাভি বলেন, ‘শহীদ ইসমাইল হানিয়ার রক্তের প্রতিশোধ ও ইসরায়েলকে কঠিন শাস্তি দেওয়ার বিষয়ে সর্বোচ্চ নেতার নির্দেশ স্পষ্ট। এসব নির্দেশ যতটা সম্ভব ভালোভাবে বাস্তবায়ন করা হবে।’
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ছিলেন হানিয়া। গত সপ্তাহে ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে তিনি তেহরান গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি যে ভবনে অবস্থান করছিলেন, সেটিতে স্বল্পপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়। এতে এক দেহরক্ষীসহ তিনি নিহত হন।
তেহরান ও হামাসের দাবি ইসরায়েল হানিয়াকে হত্যা করেছে। তবে এই বিষয়ে ইসরায়েল এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি। এই হত্যাকাণ্ডের পর প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইরান। আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি আলাদা করে এই হত্যাকাণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন।
ইসরায়েল ইরানের সম্ভাব্য হামলার বিষয়ে শুক্রবার জিজ্ঞেস করা হলে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কারবি বলেন, ‘ইসরায়েলকে রক্ষা করতে আমরা সর্বাত্মকভাবে প্রস্তুত। (ইরানের দিক থেকে) এই ধরনের কোনো হুমকি আসলে সেটাকে আমরা গুরুত্বের সঙ্গে নেই।’
গত সপ্তাহে মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধবিমানসহ অতিরিক্ত সামরিক সরঞ্জাম পাঠানোর ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী।
তবে মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনা কমাতে আহ্বান অব্যাহত রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলো। গত বৃহস্পতিবার এক যৌথ বিবৃতিতে ইসরায়েল ও হামাসকে যুদ্ধবিরতির আলোচনা আবার শুরু করতে আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিসর।
এদিকে আগামী নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এর আগে মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্র বড় ধরনের কোনো যুদ্ধ চায় না বলে মন্তব্য করেছেন আল জাজিরার জ্যেষ্ঠ রাজনৈতিক বিশ্লেষক মারওয়ান বিশারা।